Aman Rice (আমন ধানের লাল চাল) Lal Chal Amon 1kg
আমন (Aman) মূলত অর্ধসেদ্ধ চাল। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে আমন কোন ধানের নাম নয় বরং এটি একটি মৌসুমের নাম। সব ধানেরই কোন না কোন নাম আছে, তবে অনেকসময় কৃষকের চাষকৃত ধানের জাতের নাম না জানায় মৌসুমের নামে ডেকে থাকেন। এভাবেই আমন ধানের নামকরণ। মাদারীপুর, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, জামালপুর, শেরপুর, রাজশাহী, পাবনা সহ বাংলাদেশের আরও অনেক অঞ্চলে এই ধানের চাষ হয়ে থাকে। মূলত এসব অঞ্চলগুলোর নদীর আশেপাশে যে সব জায়গায় পানি জমে থাকে সেসব জমিতে এই ধানের চাষ হয়।
আমন চাল লালচে রঙের চাল। এর আবরণে লাল রঙের একটি স্তর থাকে। তাই চাল ধোয়ার পানি কিছুটা লালচে বর্ণের হয়।
বাইয়োলজি বিডি এর আমন চাল কেনো নিবেন?
১। জৈব পদ্ধতিতে চাষকৃত। ফলে কোন প্রকার ক্ষতিকর রাসায়নিক বা কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না।
২। অটো রাইস মিলে চাল না ভাঙিয়ে গ্রামের ছোট হাস্কিং মেশিনে ভাঙানো হয়। ফলে পুষ্টি উপাদান নষ্ট হয় না।
আপনি সম্ভবত বাদামী চাল, সাদা চাল এবং এমনকি কালো চালের কথা শুনেছেন, যা তার স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য সুপরিচিত, কিন্তু আপনি কি লাল চালের কথা শুনেছেন? যদিও এটি একটি নতুন আবিষ্কার নয়, এই ধরনের ধানের প্রচুর স্বাস্থ্য উপকারিতা এর আবেদন বাড়ায়। এই চাল সম্পর্কে আপনার যা জানা দরকার তা এখানে আলোচনা করা হল।
Aman Rice (আমন ধানের লাল চাল) এর উপকারিতা –
১। এই চালে সুস্থতার জন্য আবশ্যক কিছু পুষ্টি উপাদান যেমন থায়ামিন, নায়াসিন, পেন্টোথেনিক অ্যাসিড, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রণ, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম ইত্যাদি উপস্থিত থাকে।
২। এতে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার বা খাদ্য আঁশ যা আমাদের জন্য আবশ্যক।
৩। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। যার ফলে ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য এই চাল বেশ উপযোগী।
৪। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর খুব ভালো উৎস।
৫। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশেই হ্রাস করা সম্ভব।
৬। এটি নিয়মিত গ্রহণ করলে গলগণ্ড, ক্যান্সার এর মতন রোগের ঝুঁকি কমে।
৭। এটি অনেকটা সময় পেট ভরা রাখে এবং ক্ষুধা কমায়। ফলে অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকা যায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে আনা অনেকটাই সহজ হয়।
৮। পাকস্থলী এবং সর্বপরি পরিপাক তন্ত্রের ক্রিয়া সচল রাখতে বেশ কার্যকরী।
৯। এতে বিদ্যমান বিভিন্ন উপাদান দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
১০। এতে বিদ্যমান ক্যালসিয়াম হাঁড় ও দাঁতের সুস্থতায় ভীষণ উপযোগী।
১১। সেলেনিয়ামের মতন গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের যোগান ও শোষণ নিশ্চিত করে দেহকে সুরক্ষিত রাখে।
- লাল চালের স্বাস্থ্য উপকারিতা।
মজার বিষয় হল, মানুষের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির সাথে সাথে লাল চাল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং এটি শুধুমাত্র এর অসংখ্য স্বাস্থ্য সুবিধার কারণে। প্রায় 40,000 ধরনের ধান আছে; কিন্তু আমরা মাত্র কয়েক ধরণের চালের সাথেই পরিচিতও। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে এখন লাল চালের বেপক চাহিদা বেড়েছে এর গুণাবলীর জন্য। - লাল ভাত দিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
লাল চাল ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। লাল চালের কম গ্লাইসেমিক সূচক রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং ডায়াবেটিস রোগীদের উপকার করে। তা ছাড়াও, কয়েকটি অতিরিক্ত প্রাকৃতিক উপাদান স্বাস্থ্যকর চিনির মাত্রা বজায় রাখতে সহায়তা করে। - লাল ভাত খেলেও অ্যাজমা প্রতিরোধ করা যায়।
এই চালের বৈকল্পিক সম্পর্কে সবচেয়ে ভাল জিনিস হল এটি পালমোনারি ফাংশন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এই চালে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম থাকায় এর নিয়মিত সেবন অক্সিজেনের উন্নতি ঘটাতে পারে। - অক্সিজেন খরচ বাড়ায়।
লাল চাল, যা আয়রন বেশি, অক্সিজেন শোষণ এবং শরীরের সমস্ত টিস্যু এবং কোষে বিতরণে সহায়তা করতে পারে। তদ্ব্যতীত, শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি আপনার মেজাজকে বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং আপনাকে আরও উদ্যমী বোধ করতে পারে। - লাল চাল হজমে সাহায্য করে।
লাল চালে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে এবং এটি বিভিন্ন হজমের কাজে সাহায্য করতে পারে। লাল চাল, উচ্চ দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় ফাইবার, শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে এবং মলত্যাগে সহায়তা করতে পারে। উপরন্তু, এটি একটি প্রকৃতি হিসাবে কাজ করে
সতর্কতা
১. লাল চালে একটা সমস্যা থাকতে পারে যদি সেটা আর্সেনিকপ্রবণ এলাকায় উত্পাদিত হয়। ধানগাছ খুব সহজেই মাটি ও পানি থেকে আর্সেনিক শুষে নেয়। এই আর্সেনিক ধানের খোসা ও কুঁড়াতে বেশি থাকে। ধান থেকে খোসা ছাড়ানোর পর তৈরি লাল চালে আর্সেনিক–দূষণের আশঙ্কা বেশি। চাল সাদা করার সময় লাল চালের কয়েক পরত আবরণ উঠে যায়। ফলে আর্সেনিকের মাত্রা সাদা চালে কম।
২. লাল চালে সামান্য পরিমাণে ক্ষতিকর ফাইটিক অ্যাসিড আছে। এই অ্যাসিড আয়রন ও ক্যালসিয়াম শোষণে বাধা দেয়। ফলে লাল চালের ভাতের সঙ্গে যদি এমন খাবার খাওয়া হয়, যেগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও আয়রন থাকে, তবে হজমে সমস্যা হতে পারে। তাই লাল চালের ভাত খাওয়ার সময় অধিক আয়রন ও ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার না খাওয়াই ভালো।